এক.
বুকের কাঁটাগুলো তুলে নিলে
সারতো যদি ক্ষত,
কাঁটা দিয়ে-ই বুকখানা তার
সাজাতাম অবিরত।
দুই.
উস্কে দিতাম সব স্মৃতি-ই
দপদপিয়ে আগুন যদি জ্বলতো।
সোনার চালে রাঁধা ভাতে কী যে ধাঁ ধাঁ,
সেই জানে, যে জন ক্ষুধায় আসক্ত।
তিন.
আগুনই শুধু সূত্র পুড়িয়ে খায়
অন্য সবাই সূত্র আকড়ে বাঁচে,
গুল্মলতাও সূত্র জড়িয়ে সমষ্টি হয়; কবি
ভাবখানা টেনে বোনেন জামদানি ধাঁচে।
চার.
আলো আকাশ ছাড়া, বৃষ্টিও মেঘ ছাড়া
পতনের মুখর উৎস বুনতো কিসের ফাঁদে!
বিকীর্ণ আভায় সূর্যটা রাতদিন সহস্র কোটি ছায়াপথ
নিয়ে ঝুলে থাকে শুধু এতোটুকু সামিয়ানার চাঁদে।
পাঁচ.
কঠিনকে আলগা, আলগাকে কঠিন ভেবে,
একইভাবে কতজনও ভুল গেরো খোলে, আর বাঁধে।
ছয়.
নকল সিদ্ধাই পুজো নিতে এলে শুদ্ধ মনের,
ভেজাল খলও এসে আগলেছে কি অর্গল,
সমঝে রেখেছে সাজির দু'চারটে ফুল?
ভালোমন্দের দ্বন্দ্ব কেনো? দু'জনই সমান ভুল।
সাত.
না ভাঙলে পাথর জ্বলে না জোনাকের মতো বাতি,
কী সাধ জন্মে, জানে ঝড়ো বাতাসের খোলা ছাতি।
তাই নিরেট জেনে জীবনের যেটুকু থেকে যায় অক্ষুণ,
খুব কি প্রয়োজন, ধ্যানীর পাশে একটি প্রদীপ মৌন!
No comments:
Post a Comment