Pages

Saturday, August 8, 2009

কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান কী আসন্ন?


কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান কী আসন্ন?
[লেখাটি দশদিক আগষ্ট সংখ্যায় মারুফ আনাম ছদ্দনামে প্রকাশিত ]

কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এক অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যার কারণে গত দুই দশকে ৭০ হাজারেরও বেশি কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার নির্বাচনী প্রজারাভিযানের সময় থেকে বলে এসেছেন, কাশ্মীরে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। তার নির্বাচনের পরপর তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন- চলতি বছরের প্রথম দিকে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে নিয়োগ করবেন বিশেষ দূত হিসেবে, যিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুগ যুগ ধরে চলে আসা কাশ্মীর সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে কাজ করবেন।
টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সাথে এক যুগ কাজ করা হচ্ছে আমার প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। ওবামার মতো বিল ক্লিনটন একই মনোভাব নিয়ে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার কারগিল যুদ্ধের অবসানের ব্যাপারে। কাশ্মীর বিরোধ নিয়ে সংঘটিত এই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত কমপক্ষে ৫০০ সৈন্য হারিয়ে অবশেষে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে কারগিল উদ্ধার করে। এরপর ক্লিনটন ভারত সফরে এসেছিলেন।
তখন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ভারতীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে বলেন, তিনি নওযাজ শরিফকে কারগিল থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে কারগিল সমস্যা সমাধানের কথা বলে তাকে এ ব্যাপারে রাজি করিয়েছিলেন।
এদিকে গত ২৯ জুলাই পাকিস্তান ভারতের অবস্থান সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন ভারতের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসা ছাড়া ভারতের হাতে আর কোন বিকল্প নেই ... এ ছাড়া একমাত্র বিকল্প হচ্ছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা।
তার এ বক্তব্য বিবিসিসহ অন্য সব গণমাধ্যমে যথারীতি প্রচারিত হয়েছে। তার এ বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, ভারত তার মুখোমুখি শত্রু পাকিস্তানের প্রতি অবস্থানের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর মাত্র এক সপ্তাহ আগে ড. মনমোহন সিং তার পাকিস্তানি সমকক্ষ ইউসুফ রাজা গিলানীর সাথে বৈঠক করে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে তার নিজের দেশে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েন।
উল্লেখ্য, মিসরে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে এই দুই প্রধানমন্ত্রী আলাদা বৈঠক করেন এবং বেঠক শেষে এই যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।
মনমোহন সিংহ এখন পাকিস্তানের ব্যাপারে জোরালো অভিমত রাখছেন। আর এই পথ ধরেই ঘটতে পারে দীর্ঘদিনের কাশ্মীর সমস্যার এক শান্তিপূর্ণ সমাধান। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষরা চায় কাশ্মীর সমস্যার এক শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। কাশ্মীরি জনগণ তাদের আত্ননিয়ন্ত্রাধিকার ফিরে পাক- এটাই এখন বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা।

কোরাজন আকিনো : গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রী


কোরাজন আকিনো : গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রী
[ লেখাটি দশদিক আগষ্ট সংখ্যায় প্রকাশিত ]

কোরাজন আকিনো। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট তিনি। অনেকটা সিনেমার মতোই। কোরাজন আকিনো, ফিলিপিন্স এর জনগণের কাছে যিনি কোরি আকিইনো,নিভৃতচারী এক গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রীতে পরিণত হওয়ার জীবননাট্য।

১৯৩৩ সালের ২৫ জুলাই ফিলিপিন্স এর টারলাক প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মারিয়া কোরাজন সুমুলং কোজুয়াংকো। সোনার চামচ মুখে দিয়েই পৃথিবীতে এসেছিলেন কোরি। কারণ বাবা ছিলেন ১৫ হাজার একরের চিনি ক্ষেতের মালিক এবং বিশাল ব্যাংক ব্যবসায়ী । মাত্র ১৩ বছর বয়সে ধনকুবের পরিবারে মেয়ে কোরি যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে। সেখানে ফিলাডেলফিয়া এবং নিউইয়র্কের ক্যাথলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন। এ

এরপর দেশে ফিরে আসেন এবং ফার ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন আইনের উপর পড়াশোনা করার জন্য। ১৯৫৪ সালে বিয়ে করেন তখনকার নামকরা তরুণ সাংবাদিক বেনিগনো নিনয় আকুইনোকে যিনি কোরির মতই টারলাক প্রদেশের ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। পরবর্তী দুই দশক ধরে পেছন থেকে সহায়তা করে গেছেন কোরি। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন নিভৃতচারী এক গৃহিনী।

এদিকে রাজনীতিতে পা দিয়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন কোরির husbend বেনিনো। তখনকার ˆ¯^ikvmK ফার্নান্দো মার্কোসের জন্য হুমকি হয়ে উঠে তিনি। ফিলিপিন্সে সবচেয়ে কম বয়সে মেয়র,গভর্নর এবং সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তী সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁকে ভাবতে শুরু করেন অনেকে। আকিনো পরিবারের এক বন্ধুর মন্তব্য, বেনিনো ছিল এক যোদ্ধা যার তলোয়ার এবং ঘোড়ার দেখাশোনা করত তার স্ত্রী কোরি। কিন্তু এরপরেও রাজনীতির ময়দানে আসার কোন ইচ্ছা ছিল না কোরির।

১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট মার্কোস সামরিক আইন জারি করেন। এর পরের বছর অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মত বেনিনোও গ্রেফতার হন। পরবর্তী সাতটি বছর বর্হিবিশ্বের সঙ্গে বেনিনোর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলেন তার স্ত্রী কোরাজন আকিনো। ১৯৮০ সালে মার্কিন সরকারের চাপের কারণে বেনিনোকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট মার্কোস। এরপর যুক্তরাস্ট্রের বোষ্টনে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে চলে যান বেনিনো আকিনো। তবে বেশিদিন থাকেননি সেখানে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য ১৯৮৩ সালে ফিরে আসেন দেশে। কিন্তু বিমান থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই আততায়ীর গুলিতে জীবন দেন বেনিনো।

মূলত এরপরই শুরু হয় কোরাজন আকিনোর রাজনৈতিক অধ্যায়। ¯^vgx হত্যার বিচার চেয়ে দেশে ফিরে আসলে রীতিমত জনগণের নেত্রীতে পরিণত হন তিনি। ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কোসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করেন কোরাজন আকিনো। নির্বাচনে উভয়পক্ষেই বিজয়ের দাবি করে। এসময় লাখ লাখ জনতাকে নিয়ে রাজপথে নামেন গণতন্ত্রের নেত্রী কোরাজন আকিনো। দেশি বিদেশি চাপ সইতে না পেরে কেবল পদত্যাগই করেননি তৎকালীন ˆ¯^ikvmK মার্কোস। দেশও ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। পরবর্তী ছয়টি বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন কোরাজন আকুইনো। কিন্তু খব একটা সুবিধা করতে পারেন নি তিনি। অন্তত ছয়টি সেনা অভ্যুত্থান তাঁকে মোকাবেলা করতে হয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেন। তবে রাজনীতির মাঠে ঠিকই সক্রিয় ছিলেন আরো কয়েক বছর। ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট জোসেফ এস্ত্রাদার বিরুদ্ধে আ্‌ন্েদালনে ভূমিকা রাখেন তিনি। অন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর হাসপাতালেই কাটিয়ে দেন বাকিটা সময়। এমনকি শেষ দিকে চিকিৎসা নিতেও A¯^xKvi করেন। অবশেষে ১ আগষ্ট ২০০৯ শুক্রবার ৭৬ বছর বয়সে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার আন্দোলনের জোরালো Kɯ^i কোরাজন আকুইনে ওরফে কোরি আকুইনো।

Tuesday, August 4, 2009

আমার এক নতুন অনুভূতি


আমার এক নতুন অনুভূতি
২৫ জুলাই ২০০৯। অফিসে কাজ করতে ছিলাম। হঠাৎ আমার সেলফোনে রিং বেজে উঠল। মোবাইলের স্ক্রীনে দেখি আমার রুমমেট ফয়সালের mobail রিসিভ করতেই কানে আওয়াজ.....বরকত তোমার রক্তের গ্রুপ কী ?? আমি অকপটেই বলে ফেললাম বি পজিটিভ। ও বলল,আমি লাঞ্চের পর আসছি-তুমি রেডি থেকো। বিকেল ৪টায় ফয়সালের মোটর সাইকেলের পেছনে চড়ে যাচ্ছি ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে জীবনের প্রথম রক্ত দিতে।
দীর্ঘ যানযট পেরিয়ে পৌঁছলাম ল্যাবএইডে। প্রথমেই একটা ডোনার ফরম পূরণ করতে হল। তারপর আমার রক্ত পরীক্ষার জন্য নিল। অবশেষে এক ঘন্টা পর রক্ত দিলাম একজন মুমূর্ষ বাইপাস সার্জারী অপারেশন রোগীর জন্য।

সাক্ষাৎকার


গত ২৮.০৭.০৯ সোমবার বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী,সাহিত্যিক ও শিক্ষাবীদ
ড. মীজানুর রহমান শেলীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সাইফ বরকতুল্লাহ