Pages

Thursday, February 11, 2010

ধ্যাত, আসলেই পাগল আমি


ধ্যাত, আসলেই পাগল আমি




ধ্যাত, আসলেই পাগল আমি
সবাই বলে , তুই একটা পাগল
আমি জানি আমার অবস্থা।

চারদিক শুধু হাহাকার
চাই শুধু চাই এটা ওটা
চাই শুধু টাকা, গাড়ী, বাড়ি
চাই শুধু অট্রালিকার সুখ
কিন্তু কেন এমন হচ্ছে??
চারপাশ, দশদিক।

ধ্যাত, আমরা যারা পাগল
আমরা যারা ঐ সবের ধারে কাছেও
যেতে চাইনা
আমরা যারা নগন্য হয়ে থাকি
খাই দাই ঘুরি ফিরি
এটাই আমাদের পাগলের উপাদান।

আবহমান এই পাগলের পথচলা
নিষ্ঠুর এই ভাঙ্গা সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে
শুধু একটা কথাই বলি
ধ্যাত, আসলেই পাগল আমি।

Sunday, February 7, 2010

বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ দুবাই


বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ দুবাই

দুবাই সমপ্রতি উদ্বোধন করেছে বিশ্বেও সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ দুবাই। ২০০ তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের উচ্চতা ৮০০মিটার। সব রেকর্ড ছাড়িয়ে আত্বপ্রকাশ করার মধ্য দিয়ে দুবাই শহরের মর্যাদা বাড়িয়ে দিল বুর্জ দুবাইয়ের নির্মাতা ইমার প্রোপার্টিস পিজেএসসি ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যায়ে ২০০৪ সাল থেকে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করে। তবে ভবনটির সঠিক উচ্চতা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। বুর্জ দুবাইয়ের ২০০ তলার মধ্যে ১৬৫টি বাসযোগ্য বলে জানিয়েছেন এর চেয়ারম্যান। ২০০৪ সালে নির্মাণকাজ শুরুও ১,৩২৫ দিন পর ভবনটির উদ্বোধন করা হল। টাওয়ারটির কাঠামোর ৩৩০,০০০ কিউবিক মিটার কংক্রীট, ৩৯,০০০ মিটার স্টিল, ১০৩,০০০ স্কয়ার মিটার কাঁচ এবং ১৫,৫০০০ স্কয়ার মিটার স্টেইনলেস স্টীলের তৈরি। ওজন ৫০০,০০০টন। মোট আয়তন ৫ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন স্কয়ার ফিট। এর মধ্যে আবাসিক এলাকা ১ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন স্কয়ার ফিট। আর ৩০০,০০০ স্কয়ার ফিট অফিস এলাকা। এছাড়াও এত আছে সুইমিং পুল, পর্যবেক্ষণ ডেক, রেস্টুরেন্ট এবং বিলাসবহুল হোটেলও।

Saturday, February 6, 2010

কোপেনহেগেন সম্মেলন:


কোপেনহেগেন সম্মেলন:
জলবায়ুর বিষম রাজনীতি
এবং বাংলাদেশ

সাইফ বরকতুল্লাহ


১৯ ডিসেম্বর ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে শেষ হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। 15th Conference of the Parties অর্থাত্‍ কপ নামে পরিচিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয় গত ৭ ডিসেম্বর। ১৯২ টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এই সম্মেলনে যোগ দেন। অনেক আগ্রহ নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ এর দিকে লক্ষ্য রাখছিল। কারণ এই সম্মেলনের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করছিল ভূ-পৃষ্ঠের মানুষের আগামী প্রজন্মের জীবন। যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের জলমাত্রার কাছাকাছি অনেক ছোট ছোট দেশ হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, সবুজ শ্যামল শষ্যক্ষেত ভরা জমি বাড়তি সাগরের লোনাজলে তলিয়ে যাবে।

সম্মেলন শেষে একটি চুক্তি হয়েছে, কিন্তু সে চুক্তি কি কোন আশার বাণী শোনাতে পেরেছে?? আসলে এই সম্মেলনে যা হয়েছে তা হলো বাগাড়ম্বরতা, যা চুক্তির ভাষাতেই স্পষ্ট। যাতে আছে এমন সব প্রতিশ্রুতি, যা পালিত হওয়ার কোনোই নিশ্চয়তা নেই। বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে এবং বিশ্ববাসীর আশা-আকাঙ্খাকে অন্ধকারে রেখে নানা অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ঘটে যাওয়া ১২ দিনের এ সম্মেলন সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পূর্ণাঙ্গ ও সর্বসম্মত রুপরেখা দিতে পারেনি। বরং বলা যায় ১৯২ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ এ সম্মেলন শেষ হলো অনেক নতুন অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়ে।


বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর নাগরিকরা নিজেদের ভোগের জন্য অতিমাত্রায় জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে ( কার্বন নিঃসরণ ) ভূ-পৃষ্ঠের বায়ুর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে থাকে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে মেরু অঞ্চল ও পর্বতচূড়াগুলোর বরফ গলে ক্রমে সংকুচিত হতে শুরু করে এবং গলিত পানি সমুদ্রে জমা হয়ে গড় জলের উচ্চতা বেড়ে যেতে শুরু করে। একবিংশ শতাব্দীতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় সমুদ্রতটবর্তী দেশগুলো এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার কাছাকাছি দ্বীপগুলো অচিরেই বর্ধিত সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে ডুবে যাওয়ার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২১০০সাল নাগাদ বাংলাদেশের ২০ শতাংশ জমি সাগরে তলিয়ে যাবে। এছাড়াও ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলবর্তী খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী এলাকার ১.৫ কোটি মানুষ জলবায়ুজনিত কারণে উদ্বাস্তু হয়ে যাবে।

কোপেনহেগেন সম্মেলন কোনো বিচ্ছিন্ন মহাসম্মেলন নয়। ২০০৭ সালে বালিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের পর থেকেই পৃথিবীর ভবিষ্যত্‍ নির্ধারণে কোপেনহেগেনে রাষ্ট্রগুলো কী আইনি ও বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত নেবে তা নির্ধারণ ঘটেছে বেশকিছু সম্মেলন। জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্বজনমত বারবারই ক্ষতিরোধ বা প্রশমনের দাবি জানিয়েছে। দাবি উঠেছে ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে উন্নত বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাক-শিল্পায়নের সময় থেকে ২১০০ সাল নাগাদ ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। অন্যথায় উষ্ণতা বাড়িয়ে তুলবে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা আর ডুবিয়ে দেবে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোসহ বাংলাদেশের মতো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অপেক্ষাকৃত নিম্ন উচ্চতায় অবস্থিত দেশগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ।

সরকার বদলের ফলস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মানমাত্রা নির্ধারণকারী আইনি দলিল কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর না করলেও কোপেনহেগেন দলিলের মূল উদ্যোক্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই । দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ ভারত, চীন ও ব্রাজিলকে সঙ্গে নিয়ে এ দলিল তারা প্রস্তাব করে সম্মেলন শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে। ১৮৯ টি দেশ কর্তৃক সমর্থিত এ রাজনৈতিক সমঝোতা দলিল সব রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় এটি জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহিত কোনো দলিল নয়। এটির প্রস্তাবনা জাতিসংঘের রীতিনীতির বিরুদ্ধে বলে এটিকে জাতিসংঘের বিরুদ্ধে কু্য হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন বিরোধিতাকারী এক রাষ্ট্র । বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে এ প্রস্তাবিত দলিলের পক্ষে মতামত প্রকাশের কিছু চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খুব সতর্কভাবে দলিলটি পড়লে ও বিদ্যামান বিশ্ব পরিস্থিতির বাস্তবতার বিশ্লেষণ করলে এ জাতীয় ইতিবাচক প্রচেষ্টার পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

জলবায়ু পরিবর্তন তথা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলো বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিবর্তে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ঋণ দিতে চায়। এ জন্য কোপেনহেগেন সম্মেলনে যে চুক্তি হলো তাতে ২০১০-১২ সাল নাগাদ ৩০বিলিয়ন ডলার এবং ২০২০ সাল নাগাদ ১০০বিলিয়ন ডলার অর্থের জোগান দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সইয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আগামী দীর্ঘমেয়াদী সময়ের মধ্যে বিশ্বের উষ্ণতা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না বাড়ে সে ব্যাপারে একমত হয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো শেষ করবে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রায় সমুদ্রজলের মাত্রা বাড়ার যে প্রবণতা তা কোনোক্রমেই ঠেকানো যাবেনা বিশ্বের তথাকথিত উন্নত ও শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের অপকর্মের জন্য বাংলাদেশের মতো দুর্বল দেশগুলোর জনগণকে সাহায্যের নামে ধোঁকা দিয়ে আটক রাখতে চায়।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কিছু আলামত আমরা ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় আইলায় দেখতে পেয়েছি। এখনও খুলনা, সাতক্ষীরার হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, জায়গাজমি সাগরের লোনা পানির তলায় হারিয়ে বাঁধে বা রাস্তায় অনাহারে দিনানিপাত করছে। তাদের অনেকেই জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে শহরাঞ্চলে ভিক্ষা করছে। এখন শিল্পোন্নত দেশগুলো সাহায্যের নামে তাদের উপকূল এলাকায় আটকে রেখে উদ্বাস্তু বস্তি তৈরি করতে চায়। এ ধরণের সমাধান আসলে কোন কাজেই আসবে না।

উল্লেখ্য যে, এ দলিল বিশ্ব তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ধরে রাখার বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব স্বীকার করলেও এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট অঙ্গীকার না করে কেবল সাম্য ও টেকসই উন্নয়নের প্রেক্ষিতে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করার তাগিদ দিয়েছে (অনুচ্ছেদ-১)। এ দলিল কবে থেকে নিঃসরণের চূড়ান্ত মাত্রা ক্রমান্বয়ে নামিয়ে আনতে হবে তাও উল্লেখ করেনি ( অনুচ্ছেদ-৩)। যদিও উন্নত বিশের দেশগুলোকে তাদের প্রস্তাবিত নিঃসরণ হ্রাসের মাত্রা ৩১ জানুয়ারি,২০১০ নাগাদ জাতিসংঘ সচিবালয়ে জানাতে আহ্বান করা হয়েছে। তবে সে হ্রাসের নূ্যনতম মাত্রা কী হবে তার কোনো উল্লেখ করা হয়নি। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া ২০১০ সাল নাগাদ নিঃসরণ হ্রাসের যে মাত্রা প্রস্তাব করেছে, আইপিসিসির প্রস্তাবনার তুলনায় তা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। ১৯৯৭ সালের কিয়োটা প্রটোকলের অধীনে নিঃসরণ হ্রাসের মাত্রা নির্ধারণ করেও তা পালনে ব্যর্থ হয়েছে উন্নত দেশগুলো। আইপিসিসির পুনঃতাগিদ সত্বেও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা পালনে অঙ্গীকারের ব্যর্থতা জলবায়ুর পরিবর্তনের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। ৪২টি ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র ছাড়াও অস্তিত্ব হারাবে বাংলাদেশ-এর এক পঞ্চমাংশ উপকূলীয় ভূখণ্ড যেখানে বসবাস অন্তত কোটি বাংলাদেশির। বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব নিয়ে দরিদ্র দেশগুলোর দাবি-দাওয়ার প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী ধনী দেশগুলোর উদাসীনতা ও ভ্রূক্ষেপহীন আচরণই এর মূল কারণ।

কোপেনহেগেনের বিতর্কিত সমঝোতা দলিলে বাংলাদেশ সম্মতি প্রদান করে যে 'রাজনৈতিক ইচ্ছা'র পক্ষে বাংলাদেশ অবস্থান নিয়েছে তা বিপর্যয় রোধের ইচ্ছা নয়। 'অভিযোজন তহবিল' পুনর্বাসনে কিছুটা সহায়তা করবে মাত্র, কিন্তু উন্নত বিশ্ব নিঃসরণ প্রয়োজনীয় মাত্রায় কমালে হারিয়ে যাবে উপকূলীয় জেলা-পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা ও খুলনা। বিপন্ন হবে সুন্দরবন ও কক্সবাজার। বদলে যাবে দেশের ও বিশ্বের মানচিত্র। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে কিশ্ব রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জাতিসংঘ। আর তা হবে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও সভ্যতার চরম অবমাননা।

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত ১২ দিনের জলবায়ু সম্মেলন শেষে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা সব মহলকে খুশি করতে না পারলেও জাতিসংঘের জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত এই চুক্তি নিয়ে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে ধরণীকে বাঁচানোর সংগ্রামের 'শুরু' হচ্ছে কোপেনহেগেন সম্মেলন। সব মহল মানতে বাধ্য হয় এমন একটি শক্তিশালী চুক্তি করার প্রয়োজন বলে জাতিসংঘ বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন।

এদিকে, যে জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে সম্মতি দিয়েছে জার্মানী ও ইন্দোনেশিয়া। উভয় দেশ বলেছে, কিছু বিতর্ক থাকলেও এই চুক্তি একটি ভাল 'শুরু' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃপ্রশাসনিক প্যানেলের চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পাচুরি বলেছেন, 'কোপেনহেগেন জলাবায়ু চুক্তির কথাগুলোই চূড়ান্ত বাণী নয়। সামনে আরো কিছু অর্জন করার আছে। কোপেনহেগেন চুক্তি বাধ্যতামূলক কোনো দলিল নয়। তাই কেউই এটি মানতে বাধ্য নয়। মোটকথা কেউ যদি স্বেচ্ছায় মানেন তো ভাল, না মানলে কিছু করার নেই।' কিন্তু এমন একটি চুক্তি দিয়ে পৃথিবীকে বাঁচানো যাবে না বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। কোপেনহেগেন চুক্তিকে একটি ভিত্তি ধরে সামনে আগানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতিবিধি যেদিকে অগ্রসর হচ্ছে তাতে স্বেচ্ছা সেবা দিয়ে কাজ হবে না। বাধ্যতামূলক চুক্তি লাগবে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত আমাদের অনেক কাজ করার আছে। আগামী বছর ডিসেম্বরে মেক্সিকোতে পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, কোপেনহেগেন চুক্তির মূল দিক ছিল তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ রাখা এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি অভিযোজন তহবিল গঠন করা।

কাপেনহেগেন অঙ্গীকারনামার খসড়া প্রণয়নকারী ২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও ছিল এবং বাংলাদেশের কিছু প্রস্তাব এতে ঠাই পেয়েছে। ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া, কিউবা এবং নিকারাগুয়াসহ কয়েকটি দেশ এই চুক্তির নিন্দা জানিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।

কোপেনহেগেন অঙ্গীকারনামায় বিশ্ববাসীর প্রত্যাশার পূর্ণ প্রতিফলন না ঘটলেও, যেটুকু অর্জন হল তা বাস্তবায়িত করাই এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আইনগত বাধ্যবাধ্যকতায় এ চুক্তি কার্যকর করতে না পারলে তা একটি ব্যর্থ দলিল হিসাবে চিহ্নিত হবে। কাজেই চুক্তি বাস্তবায়ন ছাড়াও কোপেনহেগেন অঙ্গীকারনামাকে ভিত্তি করে আগামী দিনগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলি যাতে এ সংক্রান্ত গঠিত বিশ্ব তহবিল হতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করতে সক্ষম হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়।