Pages

Wednesday, October 28, 2009

Tuesday, October 6, 2009

জার্মানির নির্বাচন : এঙ্গেলা ম্যার্কেল এর বিজয় এবং পরবর্তী পরিস্থিতি


জার্মানির নির্বাচন : এঙ্গেলা ম্যার্কেল এর বিজয় এবং পরবর্তী পরিস্থিতি
সাইফ বরকতুল্লাহ

[ This Article published DOSHDIK october Issue]

ম্যার্কেল লক্ষ্যে ঁেপৗছলেন
২৭ †m‡Þ¤^i সংসদীয় নির্বাচনে এঙ্গেলা ম্যার্কেল বিজয়ী হলেন । ম্যার্কেলের জন্ম ১৯৫৪ সালে। বাবা ছিলেন লুথেরিয়ান যাজক। এককালের মেধাবী ছাত্রী এঙ্গেলা পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট করছেন। কিছুকাল অধ্যাপনাও করেছেন। দ্বিতীয়বারের মতো চ্যান্সেলর হয়ে জামার্নীর ইতিহাসে সাথান করে নিচ্ছেন ফরবিস ম্যাগাজিনের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই নারী। এ নতুন এই সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

নতুন সরকার
অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা, সামাজিক নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা-জার্মানির এই বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি যে আগামী সরকারের সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, নির্বাচনের আগেও এ বিষয়ে কোন সন্দেহ ছিল না। প্রশ্ন ছিল, কে বা কারা এই সব সমস্যার মোকাবিলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত। ভোটাররা তাঁদের রায় দিয়েছেন। তাঁরা আপাতত খ্রীষ্টিয় গণতন্ত্রী ও মুক্ত উদারপন্থী দলের জোটের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন। আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও গিড়ো ভেস্টারভেলেকে এবার দেখাতে হবে, যে ভোটের আগে তাঁরা যে দাওয়াইয়ের কথা বলেছেন, তা সত্যি রোগ সারাতে সক্ষম কি না এবং তাঁরাই এই কাজটা করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কি না। আগামী ৯ই b‡f¤^i- বার্লিন প্রাচীর পতনের ২০তম বার্ষিকী পালনের আগেই তাঁরা সরকার গঠনের কাজ সেরে ফেলতে চান।

নতুন এই প্রস্তাবিত সরকারের আদর্শগত অবস্থান এরকম। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি Zivwš^Z করতে প্রথমে বোঝা কমাতে হবে। এর জন্য সরকারি ঋণের বিশাল আপাতত অবশ্যই কিছুটা বাড়াতে হবে, তবে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে এছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এই পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতি চাঙা উঠলে সরকারি কোষাগারেও আয় বাড়বে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি তাদের নির্বাচনী প্রচারভিযানে দাবি করেছিল, যে এমন সঙ্কটের সময়ে কর কমানো মোটেই দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় হবে না। এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। তাদের সেই আশঙ্কা অমূলক ছিল কি না, এবার তা প্রমাণ হয়ে যাবে।,

ম্যার্কেলের নতুন জোটসঙ্গী

সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সঙ্গে মহাজোট সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় আঙ্গেলা ম্যার্কেল যেভাবে ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ নীতি Aej¤^b করে এসেছেন, মুক্ত উদারপন্থীদের সঙ্গে জোট গড়ার পর তাঁর পক্ষে এমন উদাসীন থাকা সম্ভব হবে না বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, তাঁর জোটসঙ্গী ও ভবিষ্যৎ ভাইস চ্যান্সেলার মুক্ত উদারপন্থী দলের নেতা গিডো ভেষ্টারভেলে তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে বদ্ধপরিকর। গত কয়েক বছর ধরেও তিনি নিজের নীতি অবস্থানে অবিচল ছিলেন বলেই ভোটাররা এবার তাঁকে পুরস্কৃত করেছে বলে তাঁর বিশ্বাস।

নতুন এই সরকার সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষার কাঠামো মজবুত করার বদলে নব্য-উদারপন্থী নীতি বাস্তবায়ন করবে বলে অনেক মহল আশঙ্কা করছে। ভেষ্টারভেলে কিন্তু এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলে আসছেন, যে তিনি মধ্যবিত্তদের ¯^v‡_©B শিল্প-বাণিজ্য মহলকে আরও চাঙ্গা করে তুলতে চান।


বিরোধী পক্ষের গুরুত্ব

নতুন সরকার বিভিন্ন মহলের ¯^v‡_©i মধ্যে কতটা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে, তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করে রয়েছে কিন্তু একটি বিষয় নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিগত মহাজোট সরকারের আমলে দুই বড় দল একই সরকারে থাকায় বিরোধী পক্ষের ভূমিকা অনেকটাই খর্ব হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া বিরোধী আসনে উদারপন্থী ও বাম দলের মত পরস্পর-বিরোধী শক্তি থাকায় বিরোধী ঐক্যের তেমন দুষ্টান্ত দেখা যায় নি। এবাারের নির্বাচনের পর বিরোধী আসনে বসতে চলেছে এমন ৩টি দল, যারা বাম-ঘেষা মতাদর্শের সূত্রে বাঁধা রয়েছে। সামাজিক গণতন্ত্রী, সবুজ দল ও বাম দল ‘ডি লিঙ্কে’র মধ্যে বহু প্রশ্নেই যে ঐক্যমত দেখা যাবে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে সরকার যদি সত্যি নব্য উদারপন্থার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে বিরোধীদের জোরালো প্রতিরোধ পদে পদে বাধার সৃষ্টি করবে। গণতন্ত্রের জন্য সেটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। এমনটা ঘটলে সব দলেরই চরিত্রগত ¯^iƒc আবার স্পষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল, তা কেটে যাবে।

শুভেচ্ছা বার্তা এলো প্যারিস, লন্ডন এবং ওয়াশিংটন থেকে
দ্বিতীয়বারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে ফিরে এলেন ম্যার্কেল । এলো শুভেচ্ছা বার্তা বিভিন্ন দেশ থেকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোন করে বসলেন। ম্যার্কেল হ্যালো বলতেই সরাসরি তাকে অভিনন্দন জানালেন ওবামা।
এদিকে, ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলো সার্কোজি নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার পরই রাতেই পাঠিয়েছেন তার শুভেচ্ছা বার্তা।

লন্ডনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও পাঠাতে ভোলেনি তার শুভেচ্ছাঘন বার্তা। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল ভাইস-চ্যান্সেলর ইয়োসেফ প্রোয়েল-ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সিডিইউ নেত্রী ম্যার্কেল কে।