Pages

Thursday, April 2, 2009

সম্ভাবনার বাংলাদেশ

"আমারও দেশেরও মাটিরও গন্ধে
ভরে আছে সারা মন
সবুজও শ্যামলও পরসও ছাড়া
যে নেই কিছু প্রয়োজন"




শিল্পীর এই গানের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে হয়, আমাদের এই প্রিয় দেশ বাংলাদেশের রয়েছে সোনলী অতীত। ইবনে বতুতা এই দেশটিকে পৃথিবীর ধনী অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেন। সম্রাট হুমায়ুন প্রথম পদার্পণেই অবাক বিস্ময়ে এর নাম দেন জান্নাতাবাদ। কিন্তু ঐতিহাসিক কাল থেকে উপর্যুপরি বিদেশীদের লুন্ঠন, ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র ও দুইশত বছরের শোষণ এবং পাকিস্তানী বৈষম্যের শিকারে এদেশ হয়েছে পিষ্ট। বঞ্চিত এই মানুষগুলো সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত ¯^vaxbZv নিয়ে আশায় বেঁধেছিল বুক। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ¯^‡cœi সোনারবাংলা ¯^cœB থেকে যায়- দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও রাষ্ট্রনায়কদের সিদ্ধান্ত হীনতার ফলে। তবুও থেমে নেই এ দেশের পরিশ্রমী জনগণ; শত ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝেও সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছেন দেশের কল্যাণে। তাইতো বিশ্ব প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশও এগুচ্ছে মাথা উঁচিয়ে।

একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে এসে যখন কোটামুক্ত বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প পাশ্চাত্যের বাজার জয় করছে, যখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স উত্তরোত্তর বাড়ছে, আসছে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ, যখন ড. মুহাম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, তখন অমিত সম্ভাবনার এই প্রিয় মাতৃভুমিকে নিয়ে ¯^‡cœ উদ্বেলিত হই। ঠিক এই মুহুর্তে দরকার এক দল দেশপ্রেমিক, ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও যোগ্য মানুষের, যাদের নেতৃত্বে ১৫ কোটি জনগণ সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দেবে।

২.সম্ভাবনার বাংলাদেশ...! শব্দটি আমার কাছে খুব পরিচিতি। বিভিন্ন গোষ্ঠী, মহল ও ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায়ই শব্দ দু’টি আমরা শুনে থাকি। সত্যিকার অর্থে প্রতিটি জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু' বাস্তবতা হচ্ছে, কেউ সমৃদ্ধি, কেউ সমৃদ্ধির কাছাকাছি, কেউ আবার সমৃদ্ধি থেকে অনেক দূরে। সমৃদ্ধি অর্জনের কৌশল, পদ্ধতি নিয়ে প্রচুর গবেষণা, সেমিনার, লেখালেখি ও বক্তৃতা হচ্ছে। আসুন সম্ভাবনার বাংলাদেশের একটি প্রতিচ্ছবি কল্পনা করা যাক।



৩. মানব উন্নয়ন
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও ভৌত উভয় প্রকার উৎপাদনশীল সম্পদ সৃষ্টি করতে প্রয়োজন সামাজিক খাতে ব্যাপক ব্যয়। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী নার্স ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ পাঠাতে পারলে বাংলাদেশ বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।





৪. সমাজকল্যাণ
দুস্থ্য, দরিদ্র ও অসহায় এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির একটি শুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। তাই সরকার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধিদের শিক্ষা ও প্রশিন, কিশোর অপরাধ দুরীকরণ ইত্যাদি ব্যাপক কর্মসূচী পরিচালনা করছে। অধিক বয়স্ক-দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য ভাতা নিশ্চিত করতে সরকার বয়স্কদের বয়সসীমা প্রথমে ৫৭ হতে ৬০ এবং সমপ্রতি ৬৫-তে উন্নীত করে। ২০০১-০২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দকৃত ৫০ কোটি টাকা বিপরীতে মাসিক ১০০ টাকা হারে ৪১৫১৭০ জন বয়স্ক লোক উপকৃত হয়, যা ২০০৪-০৫ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ২৬০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা হয় এবং এতে উপকৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ লক্ষ ১৫ হাজার জন। সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ ল ১৫ হাজার জন।



৫. কৃষি
বিশেষজ্ঞগণ আশা করছেন-২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ প্রায় সকল প্রকার কৃষি পণ্য বা কৃষি শস্য উৎপাদনে সম হবে এবং খাদ্যে ¯^qsm¤ú~Y©Zv অর্জন করবে। জিডিপিতে (২০০৫-২০০৬) কৃষির বিভিন্ন উপখাতের mgwš^Z অবদান ২১.৭৭%।
BBS Labour Force Survey; ২০০২-০৩ অনুযায়ী দেশের মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৫১.৭ ভাগ কৃষিখাতে নিয়োজিত। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মতে, মার্চ ২০০৬ পর্যন- দেশের মোট রপ্তানিতে কৃষিজাত পণ্যের অবদান শতকরা ৬.২৭ ভাগ। কৃষিখাতে ভর্তুকি ও সহায়তা হিসেব ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং ২০০৪-০৫ অর্থবছরের ৪৯৫৬৭৮ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়।


৬. শিা
শিা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইসের ২০০৬ সালের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ১৯৭৬৬টি মাধ্যমিক ও উ"চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩০২টি সাধারণ কলেজ, ৯০৫১টি মাদ্রাসা, ১১৭টি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট, ৬৪টি ভোকেশনাল ইনষ্টিটিউট, ২২টি পাবলিক ইউনিভার্সিটি ও ৫৪টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। ২০০৬ সনের সাময়িক তথ্য অনুযায়ী নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিার্থী সংখ্যা ৮,০৮, ১৯৫৬ জন, কলেজ পর্যায়ে ১,০০৭, ২৪১ জন এবং মাদ্রাসা শিায় ২৯,৪৫,৮২৪ জন। নারী শিায় ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে নারীর মতায়ন ও আর্থ-সামাজিক অবস'ার উন্নয়নের ল্যে সরকার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন- মেয়েদেরকে উপব"ত্তি প্রাপ্ত বেতন মওকুফ সুবিধা প্রদান করেছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত ৪৭.৫৩। উল্লেখ্য, ব্যানবেইসের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে দেশে শিার হার ৬৫.৫%।




৭. তথ্যপ্রযুক্তি
বাংলাদেশ আন-র্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস'া শুধু স্যাটেলাইট নির্ভর ছিল যা ব্যয়বহুল, ধির গতি ও ¯^í ব্যান্ড উইথ সম্পন্ন। wW‡m¤^i ২০০৫ এ ঝঊঅ-গঊ-ডঊ-৪ সাবমেরিনকেবল এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০০৬ থেকে এর কার্যক্রম চালু হয়েছে। সাবমেরিন কেবল সিষ্টেমের সফল ব্যবহারের মাধ্যমে ¯^í সময়ের মধ্যে দেশে তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত নাানবিধ কর্মকান্ডের দ্র"ত বিকাশ লাভ করবে। দেশে অপটিক্যাল ফাইবার সুবিধার ফলে-ইগভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন ও টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালু করা যাবে এবং অন্যান্য দেশের সাথে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস সার্কিট বাড়ানোর উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

৮. প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ
আয়তনে ুদ্র হলেও বাংলাদেশের ভূ-গর্ভে লুকায়িত রয়েছে চুনাপাথর, তামা, সিলিকা বালু, লবণ, কঠিন শিলা, চীনা মাটি ইত্যাদি অসংখ্য খনিজ সম্পদ। নেত্রকোনা জেলার অবসি'ত খনিতে চীনা মাটির পরিমাণ আনুমানিক ৪ ল ৬৪ হাজার টন।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে তেজস্ক্রিয় বালি- ইলমেনাইট, জিরকন, মোনাজাইট, রিওটাইল,ম্যাগনোটাইট, লিউকক্সিন ইতাদি পাওয়া গেছে যা (Black Gold) বা ‘কালো সোন’ হিসেবে খ্যাত।এছাড়া মৌলভীবাজার জেলারকুলাউড়া পাহাড়ে ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, হবিগঞ্জের শাহজীবাজার, জামালপুরের ঝালিঝুরিতে সিলিকা বালির সন্ধান পাওয়া গেছে।দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কয়লা খনিতে সোনা এবং দীঘিপাড়া ও নওগাঁর পত্নীতলা কয়লা খনিতে রূপা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


৯. গ্যাস
গ্যাস দেশের মোট জ্বালানির প্রায় ৭০ ভাগ পূরণ করে। এ পর্যন- আবিস্কৃত ২৩টি গ্যাস েত্েরর ২২টিতে মোট প্রাক্কালিত গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৮.৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং প্রাথমিক উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ২০.৫১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।International Energy Outlook ২০০০ এর Worldwide look at Reserve and Production Journal-এ উল্লেখ করা হয়েছে-২০২০ সালে বাংলাদেশ হবে প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর একক জ্বালানি দেশ।মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ ও পেট্রোবাংলা যৌথ সমীা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়- বাংলাদেশে অনাবিস্কৃত প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ প্রায় ৩২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।


১০. ঔষধ শিল্প
বাংলাদেশ দণি এশিয়ার একটি ¯^‡ívbœZ দেশ হয়েও বিগত কয়েক বছরে ঔষধ শিল্পে প্রশংসনীয় উন্নতি লাভ করেছে। খুব উন্নত প্রযুক্তির কিছু ঔষধ ছাড়া প্রয়োজনীয় প্রায় সকল প্রকার (৯৬৫) ঔষধ বর্তমানে স'ানীয় ভাবে উৎপাদিত হ"েছ। সর্বমোট ২৩৭টি এ্যালোপ্যাথিক ঔষধ প্রস'তকারী প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ১৪০০০ ব্রান্ডের ৪৭০০ কোটি টাকার ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল উৎপাদন করছে। ঔষধ শিল্পে Good Medicine Paactive(GMP) অনুশীলনে অগ্রগতি ও উৎপাদিত ঔষধ আন-র্জাতিক মান সম্পন্ন বিধায় বর্তমানে ২৭টি কোম্পানির দেশে উৎপাদিত ১৮২টি ব্রান্ডের বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ ও কাঁচামাল জাপান, কানাডা, ইতালি, কোরিয়া, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৬৭টি দেশে রপ্তানি হ"েছ এবং এ প্রেতিে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্পে আমদানিকারক দেশের পরিবর্তে রপ্তানিকারক দেশের গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশই খউঈ ভুক্ত একমাত্র দেশ যা অভ্যন-রীণ প্রয়োজন মেটানোর পর রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের ঔষধ শিল্পই আগামীতে বস্ত্র শিল্পের সম্ভাবনার সমান কাতারে অবস'ান করবে।




১১. কুটির শিল্পনক্‌শী কাঁথা, পটচিত্র, শখের হাঁড়ি, পুতুলচিত্র, খেলনাচিত্র, বয়নশিল্প, চার" কার"শিল্প, হস-শিল্পে এই ¯^Zš¿ ভুবনে অমিত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।






১২. সম্ভাবনার বাংলাদেশ ঃ সমস্যার অন-রালে
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, সোনার বাংলাদেশ, যা অধিক জনসংখ্যার দোষে দুষ্ট আজ বেশ কিছু েত্ের ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে যা আমাদেরকে সম"দ্ধ বাংলাদেশের ¯^cœ দেখতে সাহস জোগায়। নিন্মোক্ত সমস্যাবলিকে সম"দ্ধ বাংলাদেশের পথে অন-রায় হিসেবে দেখানো যেতে পারে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, যৌতুক, এসিড সন্ত্রাস, অপুষ্টি, মাত"ম"ত্যু শিশুম"ত্যু, পথশিশু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি সমস্যাবলি বেশ প্রকট রূপ ধারণ করেছে। অন্য দিকে মনোসামাজিক সঙ্কট নানাবিধ জটিল সমস্যার জন্য দায়ী- মাদকাশক্তি, আত্মহত্যা, ইত্যাদি। সুশাসনের সূচকগুলোও ভালো যা"েছ বলে দাবি করা দুষ্কর। এখনো মানবাধিকার, দুর্নীতি, গণতন্ত্র ইত্যাদি ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রশ্নবিদ্ধ।


১৩. একটি সম"দ্ধ বাংলাদেশ
সার্বজনীন শিা, সচেতনতা, শিল্পায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি েত্ের কাড়িখত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সম"দ্ধ বাংলাদেশ গড়া যেতে পারে। যেখানে ¯^v¯'¨ সেবা-চিকিৎসা, মাতৃম"ত্যু, শিশুম"ত্যু, প্রজনন ¯^v¯'¨, শিাব্যবস'া, সার্বজনীন কাড়িখত শিা, নৈতিক শিা, সামাজিক শিাসহ অন্যান্য সূচকগুলোও সম"দ্ধ বাংলাদেশের চেতনাকে প্রভাবিত করবে। সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন, ব্যাপক কর্মসংস'ান স"ষ্টি, জাকাতের সঠিক চর্চা ইত্যাদি পদেেপর মাধ্যমে দারিদ্র্যকে দূরীভূত করা হবে। পাশাপাশি পরমতে শ্রদ্ধা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কমিটমেন্ট ¯^"QZv ইত্যাদি পূর্বশর্ত নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসেনর কাড়িখত অর্জন বাংলাদেশকে ঠিকই সম"দ্ধ করে তুলবে।সবচেয়ে আশার দিক হলো বাংলাদেশে ঈর্ষা করার মতো একটি যুবসমাজ রয়েছে। যাদের দায়িত্বের প্রতি কমিটমেন্ট এ ল্য অর্জনে গতি সঞ্চার করবে।



১৪. পনের কোটি মানুষের ত্রিশ কোটি হাত
বাংলাদেশে রয়েছে পনের কোটি হাত। আজ পনের কোটি মানুষ ত্রিশ কোটি হাত বাংলাদেশের জন্য ফাস নয়, অভিসম্পাদ নয় বরং সেরা সম্পদ এবং আশির্বাদ। শুধু এ জন্যেই প"থিবীর মানচিত্রে ছোট্ট বাংলাদেশ সবার কাছে বিশাল বাংলাদেশ। কোন প্রকার বিভাজন নয় বরং ঐক্যবদ্ধ পনের কোটি মানুষ আজ আকাশ ছোয়ার ¯^cœ দেখে। আমরা যদি প্রতিটি মানুষকে মানুষ করি, ত্রিশ কোটি হাতকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ কর্মীর হাতে পরিণত করি, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান অবস'ান থেকে বিশাল উত্তরণ সম্ভব। এমনকি বাংলাদেশের বর্তমান আয় বেড়ে দাড়াতে পারে দ্বিগুণ, দশগুণ, বিশগুণ, পঞ্চাশগুণ, একশতগুণ এমনটি একহাজারগুণের বেশী। আমরা কি পারি না বিষয়গুলি নিয়ে গভীর চিন-া করতে এবং তা বাস-বায়নের উদ্যোগ নিতে?

1 comment: