Pages

Tuesday, March 17, 2015

চলো আবারও যমুনার পাড়ে যাই | সাইফ বরকতুল্লাহ

তুমি কি কেবলই নায়িকা
তোমার রূপের মায়াবী জাদু
নিজেকে নিয়ে যায় বিমূর্ত বাসনায়।

ইদানিং তোমার দূরে চলে যাওয়ায়
বিষণ্ন হয়ে যায় মন
মনের আকাশে খুঁজে বেড়ায়
তোমারই ছবির ছায়া।

নারকেলের পিঠা, ঝাল পিঁয়াজু
আর চায়ের কাপে তোমার স্পর্শ
থাক না অতীত স্মৃতি
চলো, আবারও
যমুনার পাড়ে যাই...

source : http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/352040.html
--
with Best regards

Saif BARKATULLAH

ক্রিকেটের বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

এক.

দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট (৯ মার্চ ২০১৫)। অফিসের জন্য রেডি। নিত্যদিনের মতো অফিসে যাওয়ার আগ মুহূর্তে শামুরাকে (শামুরা শাদমান, আমার ১১ মাস বয়সী ছেলে) কোলে নিয়ে আদর করতে হয়। এদিন আদর নয়, শামুরাকে নিয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরির অপেক্ষা করছিলাম। যখন রিয়াদ সেঞ্চুরি করল, তখন এডিলেডের বাংলাদেশি সমর্থকদের সাথে আমার ছেলেও হাততালি দিচ্ছিল। বাসা থেকে বের হবার সময় ছেলে আমার মাথা নাড়ছিল, মাথা নাড়া থেকে বুঝলাম, সে আমাকে পুরো খেলাটা দেখার জন্য অফিসে আসতে বারণ করছিল, নয়তো বাংলাদেশ হারবে না বুঝাচ্ছিল।

দুই.

বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট। অফিসের নিউজরুমে আমরা সবাই প্রার্থনা করছি আর টিভির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের সাথে রয়েছেন শফিক ভাই (আজকের পত্রিকার সম্পাদক), আব্দুল্লাহ আল ফারুক ভাই, মোস্তফা হোসেইন ভাই, হাসিব ভাইসহ নিউজরুমের সবাই। রুবেল যখন লাস্ট উইকেটটা ফেলল, সাথে সাথে আমরা লাফিয়ে চিৎকার দিয়ে আনন্দ করছি। খেলা শেষে যখন অফিসে মিষ্টি খাচ্ছিলাম তখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল এত আনন্দ। অথচ সারা দেশে হরতাল-অবরোধ, গাড়ি পোড়ানো, পেট্রলবোমার আতঙ্ক। ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে পুরো দেশকে এক জায়গায় আনলো প্রিয় মাশরাফি বাহিনী।

তিন.

রুবেল যখন ইংল্যান্ডের শেষ দুই উইকেট নিলেন, সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে উদ্বেলিত হলো পুরো দেশ। এ জয়ের ফলে গুমোট অবস্থা থেকে বেরিয়ে পতাকা হাতে মানুষ নেমে পড়ল রাস্তায়। পুরো সন্ধ্যা চলল মিছিল। অনেকের হাতে বাঁশি, ঢোল ও লাল-সবুজের পতাকা। আর সবার কণ্ঠে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ধ্বনিতে মুখরিত। টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজ। অনলাইন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনে তখন বিশেষ সংবাদ। বিশ্বমিডিয়াতেও বাংলাদেশের বিজয়ের খবর।

চার.

শুধুই কি তাই? কয়েক দিন ধরেই দেশে একটা গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছিল। টানা অবরোধ-হরতাল, ককটেল, পেট্রলবোমা নিয়েই ছিল মানুষের যত মাথাব্যথা। এর মধ্যে এমন একটি জয় কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে জনজীবনে। বাংলাদেশের এ বিজয় ১৬ কোটি মানুষের বিজয়। ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে রংপুরের পীরগঞ্জ, রূপসা থেকে পাথুরিয়া, সমগ্র বাংলাদেশ যেন জিতেছে। এর চেয়ে খুশির খবর আর কী হতে পারে। মোটর শোভাযাত্রা, ট্রাকে করে মিছিল, নাচ, গান, স্লোগান আর রং ছিটিয়ে আনন্দ-উল্লাস- আরও কত কী!

পাঁচ.

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমরা তোমাদের ভুলবো না। রেবেকা ইসলাম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,

বাঘের হালুম বিশ্ব কাঁপায়

ব্রিটিশ হাঁপায়, ব্রিটিশ হাঁপায়!
একাত্তর টিভির ডিরেক্টর নিউজ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায় না, ইংল্যান্ড পরাস্ত, বিজয় উৎসবে হরতাল পরাস্ত, অবরোধ পরাস্ত, পেট্রলবোমা পরাস্ত... (সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না-বঙ্গবন্ধু, ৭ই মার্চ, ১৯৭১)। বিশকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দলের এই বিজয়ের আনন্দে হরতাল ১২ ঘণ্টার জন্য শিথিল।
 দেশপ্রেমের অনন্য নজির।
হেড অব প্রেস এন্ড ইনফরমেশন সেকশন এট ইউএসএ এর মেরিনা ইয়াসমীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, কালকের পত্রিকাগুলো পড়তে কি যে ভালো লাগবে! আজকে যেমন টেলিভিশনগুলোতে একই দৃশ্য বারবার দেখতে ইচ্ছে করছে। ফেসবুকের নিউজ ফিড দেখে মন ভরছে না, চোখ সরছে না। টাইগারদের ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি দেখতে ইচ্ছে করছে না। এরাই আমাদেরকে কাঁদায়, এরাই আমাদেরকে হাসায়।

সাংবাদিক ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দুঃখ-মৃত্যু আমাদের এক করতে পারেনি; একটা বড় জয়ে আমরা বড় এক হলাম। খুব তৃষিতের তৃপ্তি এ জয়। আরেক লগন।

শুধু তাই নয়, অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে সেলফি, বিজয় উচ্ছ্বাসসহ বিভিন ছড়া, কবিতা, নানা হাসির বার্তা প্রকাশ করেছেন।

ছয়.

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর আমরা যেন ভুলে গেছি সব বিভেদ। টাইগাররা আমাদেরকে এক করে দিয়েছে। অফিস থেকে রাতে বাসায় গিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশোতেও দেখলাম, মাঠের বার্তা, খেলাধুলা ও রাজনীতি শিরোনামে টকশো হচ্ছে। সেখানেও জাতীয় ঐক্যের বার্তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আরো ভালো লেগেছে, যখন শুনলাম বিশ দলীয় জোট হরতাল শিথিল করে মঙ্গলবার সারা দেশব্যাপী বিজয় উৎসব পালনের ঘোষণা দিয়েছে। টাইগাররা শেষ আটে পৌঁছানোয় মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিজয় মিছিলের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি জানান, এই জয়ে এবং বাংলাদেশ দলের এগিয়ে চলায় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আর সারাদেশের মানুষকে এই বিজয়ের উল্লাসে শামিল হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সাত.

বাংলাদেশের এ বিজয় ১৬ কোটি মানুষের বিজয়। তাই যে যেভাবে পারছেন আনন্দ করছেন, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। বিডি সাইক্লিস্ট গ্রুপের মডারেটর ফুয়াদ আহসান চৌধুরী তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, 'খুব অঘটন না ঘটলে রাস্তায় যেখানেই আনন্দ মিছিল পাই, ঢুইকা পড়ব। হাত, পা ঘুরায়া প্যাঁচায়া পাগলা নাচ কাহারে বলে বুঝায় দিব। কথা দিলাম।' গুলশানে হাবিব ব্যাংকে কর্মরত মো. মোবারক হোসেন বলেন, 'এমন উত্তেজনার সময় কি কোনো কাজ করা যায় নাকি? দরকার হলে সারা রাত কাজ করব। তবুও দেশের খেলা বলে কথা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জিতল, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।' টিএসসিতে সারা শরীরে রং মেখে আনন্দ-উচ্ছ্বাস করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শরাবন তহুরা। জানালেন, কেঁদেছেন খুব। অনেক দিন পর এত কাঁদলেন। কেঁদেছেন ম্যাচের শেষ দিকে। বলেন, 'ম্যাচের শেষ দিকে প্রার্থনা করেছি আর কেঁদেছি। জেতার পর আবার কেঁদেছি। বাংলাদেশ জিতে গেলে মনে হয় নিজেই জিতেছি। তখনই মনে হয় বাংলাদেশকে কত ভালোবাসি।'

সত্যিই তো, ক্রিকেট ছাড়া আর কে-ই বা দিতে পেরেছে দেশকে এমন আনন্দের উপলক্ষ! (সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন)

সত্যিই তাই। ক্রিকেট ছাড়া আর কে দিতে পারবে এমন এক মোহনায় ফেরাতে? আমাদের বিভেদ জড়ানো রাজনীতিতে এ এক নতুন বার্তা। দুমাসের অচলাবস্থা। হরতাল-অবরোধ। পেট্রলবোমা-গুলি। ভালো নেই মানুষ। প্রতি মুহূর্ত তাদের কাটছে অনিশ্চয়তা আর শঙ্কায়। এমনই এক ঘোর অন্ধকার সময়ে এলো সে মাহেন্দ্রক্ষণ। এখানে কোনো ভেদ নেই। ধর্ম-বর্ণ আর শ্রেণীরও কোনো সংকট নেই। সবাই এক কাতারে। সবাই ঐক্যবদ্ধ। সবাই একদল। মাঠে এমন ক্রিকেট উন্মাদনা পৃথিবী নামক গ্রহের আর কোথায়ই বা দেখা যায়। টিভি টকশো থেকে রাজনীতির মাঠ সবখানে বাংলাদেশ দুভাগে বিভক্ত থাকলেও একমাত্র ক্রিকেটের ব্যাপারেই সবাই একমত। এমনকি বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য কয়েকদিন আগে এমনটাও বলেছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জিতলে অবরোধ উঠে যাবে। তারাই আমাদের সংকটের সমাধান করবে। ক্রিকেট এখন মাঠের বৃত্ত পেরিয়ে পরিণত হয়েছে জীবনের প্রতিচ্ছবিতে। যেখানে বিজয় পথ দেখায় একটি জাতিকে। এবারের ঐতিহাসিক বিজয় যেমন একসুতোয়  গেঁথেছে পুরো বাংলাদেশকে। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ক্রিকেট বিজয়ের মিছিলে যে ছেলেটি শরিক হয়েছে তার কোনো রাজনীতি নেই। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠেই মিছিলে শরিক হতে পেরেছে ছেলেটি। আসুন সবাই, পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে এই বিজয় উৎসবে শরিক হই। বিভেদের রাজনীতির কথা ভুলে সবাই পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ি।

সাইফ বরকতুল্লাহ : সাংবাদিক ও কবি
 - See more at: http://ajkerpatrika.com/open-air/2015/03/10/24886#sthash.OvmQyBoK.dpuf
--
with Best regards

Saif BARKATULLAH

Saturday, January 24, 2015

আমি সবসময় ভিন্ন কিছু লেখার চেষ্টা করি-সাইফ বরকতুল্লাহ

আমি সবসময় ভিন্ন কিছু লেখার চেষ্টা করি-সাইফ বরকতুল্লাহ
অমর একুশে গ্রন্থমেলা নিয়ে বইনিউজের সাথে কথা বলেছেন তরুণ লেখক, সাংবাদিক ও কবি সাইফ বরকতুল্লাহ
 
বইনিউজ : আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আপনার কি কি বই প্রকাশ পাবে ?
সাইফ বরকতুল্লাহ : বইমেলা ২০১৫ কে সামনে রেখে দুটি বই করছি। আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ শাড়ীর আঁচলে মোড়ানো কবির চোখ, আরেকটা উপন্যাস বয়স ২৫ এবং।
বইনিউজ: আপনার প্রকাশিত বই কয়টি? ও কি কি ? সাইফ বরকতুল্লাহ : ৪টি। জ্যেৎস্না রাতের গল্প (কবিতা), সম্ভাবনার বাংলাদেশ (গবেষণা), ব্লগ কী লিখবেন কেন লিখবেন কীভাবে লিখবেন (গণমাধ্যম), পারুল (কিশোর উপন্যাস)।
বইনিউজ : পাঠক আপনার বই কেন পছন্দ করে ?
সাইফ বরকতুল্লাহ : আমি সবসময় ভিন্ন কিছু লেখার চেষ্টা করি। যেমন আমার লেখা ব্লগ কী লিখবেন কেন লিখবেন কীভাবে লিখবেন- বইটি ব্লগ নিয়ে বাংলা ভাষায় নতুন বই। এ ধরনের গ্রন্থ সম্ভবত বাংলাদেশে এটাই প্রথম। একই সাথে নবীন ব্লগার ও লেখকদের এই গ্রন্থটি আত্মসচেতন হতে নিশ্চিতভাবে সহায়ক হবে এটা জোর দিয়ে বলা যায়। গ্রন্থটি গত বইমেলায় বেস্ট সেলারের তালিকায় ছিল।
বইনিউজ : লেখালেখিতে আপনি কোন মাধ্যমে বেশি স্বস্তিবোধ করেন ?
সাইফ বরকতুল্লাহ : আমি মূলত সব্যসাচী টাইপের। আমার শুরুটা কবিতা দিয়ে। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছি। গল্প ও উপন্যাসও লিখছি। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হচ্ছে মানব মনের অতল রহস্যের অনুসন্ধান করা। একই সাথে বাস্তব তথ্যভিত্তিক চিন্তা চেতনার শেকড় অনুসন্ধান করা।
বইনিউজ : অমর একুশে গ্রন্থমেলা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
সাইফ বরকতুল্লাহ : বইমেলা বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে, অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে গেছে। পাঠক সৃষ্টিতেও বইমেলা ভূমিকা রেখেছে। বইমেলার কারণেই বাংলাভাষা আজ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বইমেলার কারণেই নতুন নতুন লেখক তৈরি হচ্ছে।
বইনিউজ : বইমেলা নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কি?
সাইফ বরকতুল্লাহ : ভালো সম্পাদনার বই চাই। চাই নতুন লেখকদের আরো বেশি তুলে ধরা। গ্রামকেন্দ্রিক লেখকদের মিডিয়ায় কাভারেজ করা।আর পাঠকরা যেন প্রতারিত না হয় সেদিক বিবেচনা করা ।
বইনিউজ : অমর একুশে গ্রন্থমেলা আরো আকর্ষনীয় করতে আপনি কি পরামর্শ দিতে চান?
সাইফ বরকতুল্লাহ : পুরো মেলাটা যেন একটা জায়গায় হয়। হয় বাংলা একাডেমি নয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কারণ দুই জায়গায় একসাথে হলে সাধারণ ক্রেতারা বিভ্রান্তিতে পড়ে।

# নোট: বইনিউজে সাক্ষাৎকার দেন সাইফ বরকতুল্লাহ।
 প্রকাশিত, প্রচ্ছদ প্রতিবেদন, বই আলাপ January 18, 2015

--
with Best regards

Saif BARKATULLAH