Pages

Sunday, September 6, 2009

জাপানের নির্বাচন : বিরোধী দলের বিপুল


জাপানের নির্বাচন : বিরোধী দলের বিপুল জয়
[ লেখাটি দশদিক september সংখ্যায় মারুফ আনাম ছদ্দনামে প্রকাশিত ]

জাপানের নির্বাচনে অভূতপূর্ব বিজয় লাভ করেছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপান। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির দীর্ঘদিনের আধিপত্য খর্ব করে তারা এবার ক্ষমতা নিতে যাচ্ছে।

এদিকে নিজ দলের পরাজয় ¯^xKvi করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তারো আসো। ৩০আগষ্ট রোববার জাপানের সংসদীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের শেষে এক্সিট পোলের হিসাবে দেখা গেছে যে, বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপান বা ডিপিজে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হতে চলেছে। জাপানের নিম্নকক্ষের আসনের সংখ্যা ৪৮০টি। এক্সিট পোলের হিসাবে দেখা গেছে যে ক্ষমতাসীন এলডিপি মাত্র একশটির মতো আসনে জয়লাভ করতে যাচ্ছে। তাদের জোটসঙ্গী কোমেইতো পার্টি পাচ্ছে মাত্র ২০টি আসন। অপরদিকে তিনশর বেশি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে বিরোধী দল ডিপিজে। উল্লেখ্য, বর্তমানে তাদের আসন মাত্র ১১৫টি। অব্যাহত আর্থিক মন্দার মুখে পড়া জাপানের নাগরিকরা এবার পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই পরাজয় আঁচ করতে শুরু করেন ক্ষমতাসীন এলডিপির নেতারা। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে জাপানের ক্ষমতায় ছিল রক্ষণশীল বলে পরিচিত এলডিপি। এবার তাদের সেই আধিপত্য খর্ব হতে চললো। এদিকে নির্বাচনে পরাজয় ¯^xKvi করে নিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং এলডিপির প্রধান তারো আসো। তিনি পরাজয়ের দায়িত্ব ¯^xKvi করে নিয়ে দলীয় প্রধানের পদ থেকেও পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফলকে ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন তারো আসো। এর আগে এলডিপির সেক্রেটারি জেনারেল হিরোইউকি হোসোদাও পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, নির্বাচনে বিজয়ী ডিপিজের প্রধান এবং সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী ইউকিও হাতোয়ামা ফলাফলের জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ৬২ বছর বয়স্ক এই নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞবোধ করছি। জনগণ বর্তমান রাজনীতির প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি হিসাবে পরিচিত জাপানের ক্রমবর্ধমান মন্দা এবারের নির্বাচনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। নির্বাচনের আগে থেকেই বিরোধী নেতা ইউকি হাতোয়ামা পরিবর্তনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। বিগত নির্বাচনে জুনিচিরো কোইজুমির নেতৃত্বে এলডিপি বিপুল বিজয় লাভ করলেও পরবর্তীতে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এবং বয়স্কদের সমস্যা সমাধানের কোন উপায় বের করতে না পেরে সমর্থন হারায় এলডিপি। উল্লেখ্য, জাপানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উদারপন্থী বলে পরিচিত ডিপিজের প্রচারণা এসব বয়স্ক মানুসের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন ডিপিজে নেতা ইউকি হাতোয়ামা। তিনি বলেছেন, যে তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসলে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এশিয়ার দেশগুলোর দিকেই তারা বেশি নজর দেবেন। উল্লেখ্য, প্রতিবেশি চীনের সঙ্গে আগে থেকেই বেশ ভালো সম্পর্ক ডিপিজের। আমরাও আশা করবো,দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সাথে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে তা বর্তমান এই নতুন সরকারের সাথেও একই থাকবে।

No comments:

Post a Comment