Pages

Sunday, September 6, 2009

সাক্ষাৎকার


ইন্দ্র মোহন রাজবংশী একনিষ্ঠ লোকসঙ্গীত গবেষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, লেখক, গীতিকবি, সুরকার, সংগীত পরিচালক, উপস্থাপক ও শিশুগীতি কবি, বিভিন্ন বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক। শিল্পী জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজে বিভিন্ন স্তরে সুদীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার দশককাল নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে সরকারি চাকরিজীবনের একেবারে শেষপ্রান্তে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে আসেন ২০০৯ এর ১লা জুন থেকে। লোকসংগীত বিষয়ে গবেষণা করছেন বিগত তিন যুগ ধরে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন দীর্ঘদিন; পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, চর্চা, গবেষণা ও বিকাশের মূলমন্ত্র নিয়ে ১৯৯৮ সালে দেশব্যাপী গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ লোকসংগীত পরিষদ’। সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ (¯^vaxbevsjv বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে), সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে দেশের সর্বপ্রথম সংগীত বিষয়ক পত্রিকা ‘মাসিক সংগীত’ (মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক প্রয়াত তরুণ রায় প্রতিষ্ঠিত) সম্পাদনা করেছেন, প্রণয়ন করেছেন বাংলাদেশ স্কুল টেক্‌স্ট বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক ‘তত্ত্বীয় সংগীত’ (দ্বিতীয় পত্র), ত্রিশ বৎসরাধিককাল যাবৎ পালন করে আসছেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রী ও মাস্টার্স পর্যায়ের পরীক্ষকের দায়িত্ব (বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সংগীত বিষয়ে ডিগ্রী ও মাস্টার্স পর্যায়ের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান)। পত্র পত্রিকাসহ বিভিন্ন সাময়িকী ও স্মরণিকায় লিখেছেন অনেক প্রবন্ধ, বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে রচনা করেছেন অনেক গান, তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রায় এক হাজার গান লিখে, সুর দিয়ে নিজের সংগীত পরিচালনায় গেয়েছেন ও অন্যদের কণ্ঠে রেকর্ড করিয়েছেন বহু গান, উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন চ্যানেলে, রচনা করেছেন ও করে যাচ্ছেন শিশুদের জন্য পল্লীগীতিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচুর শিশুতোষ গান।

¯^‡`‡k এবং বিশ্বের বহু দেশে সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি হিসেবে সফলভাবে আপন ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতকে তুলে ধরার জন্য সংগীত শিল্পী হিসেবে তিনি যেমন দেশে বহু প্রতিষ্ঠানের ¯^xK…wZ সহ লাভ করেছেন, তেমনি উল্লেখিত বিভিন্ন কর্মের জন্য ¯^xK…wZ ও সম্মাননা পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। দেশীয় বিভিন্ন ¯^xK…wZi মধ্যে চলচ্চিত্রে কণ্ঠদানের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার (১৯৭৬), বছরের সেরা লোকসংগীত শিল্পী হিসেবে ‘যায় যায় দিন, প্রথম আলো পাঠক জরিপ পুরস্কার (১৯৯৫); লোকসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে ‘আবদুল আলীম স্মৃতি পদক ২০০৬’ এবং লোকসংগীত গবেষণার ¯^xK…wZ হিসেবে ‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন স্মৃতি পদক ২০০৭’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে শিল্পী, গবেষক ও সংগঠক হিসেবে বহুমুখী কর্মের ¯^xK…wZ হিসেবে ÔWorld Master Certificate 2007Õ প্রাপ্তি তাঁকে দিয়েছে সৃজনশীলতায় বহুমাত্রিক অনুপ্রেরণা। যা দেশ ও জাতির জন্যও গৌরবের বিষয়। তাঁর সম্পর্কে এ সব তথ্য জানার পর কেন যেন মনে হল যে, তিনি তাঁর নানামুখী কর্ম অনুযায়ী প্রচারমাধ্যমে তেমন করে উঠে আসেননি। তবে কি তিনি নিজেকে আড়াল করে রাখতে চান? গত ২৮ আগষ্ট তার বেইলী রোডের বাসায় সাইফ বরকতুল্লাহ এই প্রচারবিমুখ, নিভৃতচারী ও কাজপাগল মানুষটির একটি অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকার নেন মাসিক দশদিক পত্রিকার জন্য।

No comments:

Post a Comment