কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান কী আসন্ন?
[লেখাটি দশদিক আগষ্ট সংখ্যায় মারুফ আনাম ছদ্দনামে প্রকাশিত ]
কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এক অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যার কারণে গত দুই দশকে ৭০ হাজারেরও বেশি কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার নির্বাচনী প্রজারাভিযানের সময় থেকে বলে এসেছেন, কাশ্মীরে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। তার নির্বাচনের পরপর তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন- চলতি বছরের প্রথম দিকে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে নিয়োগ করবেন বিশেষ দূত হিসেবে, যিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুগ যুগ ধরে চলে আসা কাশ্মীর সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে কাজ করবেন।
টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সাথে এক যুগ কাজ করা হচ্ছে আমার প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। ওবামার মতো বিল ক্লিনটন একই মনোভাব নিয়ে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার কারগিল যুদ্ধের অবসানের ব্যাপারে। কাশ্মীর বিরোধ নিয়ে সংঘটিত এই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত কমপক্ষে ৫০০ সৈন্য হারিয়ে অবশেষে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে কারগিল উদ্ধার করে। এরপর ক্লিনটন ভারত সফরে এসেছিলেন।
তখন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ভারতীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে বলেন, তিনি নওযাজ শরিফকে কারগিল থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে কারগিল সমস্যা সমাধানের কথা বলে তাকে এ ব্যাপারে রাজি করিয়েছিলেন।
এদিকে গত ২৯ জুলাই পাকিস্তান ভারতের অবস্থান সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন ভারতের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসা ছাড়া ভারতের হাতে আর কোন বিকল্প নেই ... এ ছাড়া একমাত্র বিকল্প হচ্ছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা।
তার এ বক্তব্য বিবিসিসহ অন্য সব গণমাধ্যমে যথারীতি প্রচারিত হয়েছে। তার এ বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, ভারত তার মুখোমুখি শত্রু পাকিস্তানের প্রতি অবস্থানের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর মাত্র এক সপ্তাহ আগে ড. মনমোহন সিং তার পাকিস্তানি সমকক্ষ ইউসুফ রাজা গিলানীর সাথে বৈঠক করে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে তার নিজের দেশে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েন।
উল্লেখ্য, মিসরে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে এই দুই প্রধানমন্ত্রী আলাদা বৈঠক করেন এবং বেঠক শেষে এই যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।
মনমোহন সিংহ এখন পাকিস্তানের ব্যাপারে জোরালো অভিমত রাখছেন। আর এই পথ ধরেই ঘটতে পারে দীর্ঘদিনের কাশ্মীর সমস্যার এক শান্তিপূর্ণ সমাধান। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষরা চায় কাশ্মীর সমস্যার এক শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। কাশ্মীরি জনগণ তাদের আত্ননিয়ন্ত্রাধিকার ফিরে পাক- এটাই এখন বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা।
[লেখাটি দশদিক আগষ্ট সংখ্যায় মারুফ আনাম ছদ্দনামে প্রকাশিত ]
কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার এক অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যার কারণে গত দুই দশকে ৭০ হাজারেরও বেশি কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার নির্বাচনী প্রজারাভিযানের সময় থেকে বলে এসেছেন, কাশ্মীরে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। তার নির্বাচনের পরপর তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন- চলতি বছরের প্রথম দিকে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে নিয়োগ করবেন বিশেষ দূত হিসেবে, যিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুগ যুগ ধরে চলে আসা কাশ্মীর সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে কাজ করবেন।
টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সাথে এক যুগ কাজ করা হচ্ছে আমার প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। ওবামার মতো বিল ক্লিনটন একই মনোভাব নিয়ে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার কারগিল যুদ্ধের অবসানের ব্যাপারে। কাশ্মীর বিরোধ নিয়ে সংঘটিত এই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত কমপক্ষে ৫০০ সৈন্য হারিয়ে অবশেষে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে কারগিল উদ্ধার করে। এরপর ক্লিনটন ভারত সফরে এসেছিলেন।
তখন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ভারতীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে বলেন, তিনি নওযাজ শরিফকে কারগিল থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের মাধ্যমে কারগিল সমস্যা সমাধানের কথা বলে তাকে এ ব্যাপারে রাজি করিয়েছিলেন।
এদিকে গত ২৯ জুলাই পাকিস্তান ভারতের অবস্থান সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন ভারতের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসা ছাড়া ভারতের হাতে আর কোন বিকল্প নেই ... এ ছাড়া একমাত্র বিকল্প হচ্ছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা।
তার এ বক্তব্য বিবিসিসহ অন্য সব গণমাধ্যমে যথারীতি প্রচারিত হয়েছে। তার এ বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে, ভারত তার মুখোমুখি শত্রু পাকিস্তানের প্রতি অবস্থানের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর মাত্র এক সপ্তাহ আগে ড. মনমোহন সিং তার পাকিস্তানি সমকক্ষ ইউসুফ রাজা গিলানীর সাথে বৈঠক করে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে তার নিজের দেশে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েন।
উল্লেখ্য, মিসরে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে এই দুই প্রধানমন্ত্রী আলাদা বৈঠক করেন এবং বেঠক শেষে এই যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।
মনমোহন সিংহ এখন পাকিস্তানের ব্যাপারে জোরালো অভিমত রাখছেন। আর এই পথ ধরেই ঘটতে পারে দীর্ঘদিনের কাশ্মীর সমস্যার এক শান্তিপূর্ণ সমাধান। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষরা চায় কাশ্মীর সমস্যার এক শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। কাশ্মীরি জনগণ তাদের আত্ননিয়ন্ত্রাধিকার ফিরে পাক- এটাই এখন বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা।
THANKS for comments.... Adam Shalit
ReplyDeleteWe should help them by our writing and supporting.
ReplyDeleteIt is our holly task I think.
So Congratulation you Saif Barkatullah.
Run ahead.