Pages

Saturday, August 8, 2009

কোরাজন আকিনো : গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রী


কোরাজন আকিনো : গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রী
[ লেখাটি দশদিক আগষ্ট সংখ্যায় প্রকাশিত ]

কোরাজন আকিনো। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট তিনি। অনেকটা সিনেমার মতোই। কোরাজন আকিনো, ফিলিপিন্স এর জনগণের কাছে যিনি কোরি আকিইনো,নিভৃতচারী এক গৃহবধূ থেকে গণতন্ত্রের নেত্রীতে পরিণত হওয়ার জীবননাট্য।

১৯৩৩ সালের ২৫ জুলাই ফিলিপিন্স এর টারলাক প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মারিয়া কোরাজন সুমুলং কোজুয়াংকো। সোনার চামচ মুখে দিয়েই পৃথিবীতে এসেছিলেন কোরি। কারণ বাবা ছিলেন ১৫ হাজার একরের চিনি ক্ষেতের মালিক এবং বিশাল ব্যাংক ব্যবসায়ী । মাত্র ১৩ বছর বয়সে ধনকুবের পরিবারে মেয়ে কোরি যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে। সেখানে ফিলাডেলফিয়া এবং নিউইয়র্কের ক্যাথলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন। এ

এরপর দেশে ফিরে আসেন এবং ফার ইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন আইনের উপর পড়াশোনা করার জন্য। ১৯৫৪ সালে বিয়ে করেন তখনকার নামকরা তরুণ সাংবাদিক বেনিগনো নিনয় আকুইনোকে যিনি কোরির মতই টারলাক প্রদেশের ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। পরবর্তী দুই দশক ধরে পেছন থেকে সহায়তা করে গেছেন কোরি। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন নিভৃতচারী এক গৃহিনী।

এদিকে রাজনীতিতে পা দিয়ে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন কোরির husbend বেনিনো। তখনকার ˆ¯^ikvmK ফার্নান্দো মার্কোসের জন্য হুমকি হয়ে উঠে তিনি। ফিলিপিন্সে সবচেয়ে কম বয়সে মেয়র,গভর্নর এবং সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তী সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁকে ভাবতে শুরু করেন অনেকে। আকিনো পরিবারের এক বন্ধুর মন্তব্য, বেনিনো ছিল এক যোদ্ধা যার তলোয়ার এবং ঘোড়ার দেখাশোনা করত তার স্ত্রী কোরি। কিন্তু এরপরেও রাজনীতির ময়দানে আসার কোন ইচ্ছা ছিল না কোরির।

১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট মার্কোস সামরিক আইন জারি করেন। এর পরের বছর অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মত বেনিনোও গ্রেফতার হন। পরবর্তী সাতটি বছর বর্হিবিশ্বের সঙ্গে বেনিনোর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলেন তার স্ত্রী কোরাজন আকিনো। ১৯৮০ সালে মার্কিন সরকারের চাপের কারণে বেনিনোকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট মার্কোস। এরপর যুক্তরাস্ট্রের বোষ্টনে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে চলে যান বেনিনো আকিনো। তবে বেশিদিন থাকেননি সেখানে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য ১৯৮৩ সালে ফিরে আসেন দেশে। কিন্তু বিমান থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই আততায়ীর গুলিতে জীবন দেন বেনিনো।

মূলত এরপরই শুরু হয় কোরাজন আকিনোর রাজনৈতিক অধ্যায়। ¯^vgx হত্যার বিচার চেয়ে দেশে ফিরে আসলে রীতিমত জনগণের নেত্রীতে পরিণত হন তিনি। ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কোসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করেন কোরাজন আকিনো। নির্বাচনে উভয়পক্ষেই বিজয়ের দাবি করে। এসময় লাখ লাখ জনতাকে নিয়ে রাজপথে নামেন গণতন্ত্রের নেত্রী কোরাজন আকিনো। দেশি বিদেশি চাপ সইতে না পেরে কেবল পদত্যাগই করেননি তৎকালীন ˆ¯^ikvmK মার্কোস। দেশও ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। পরবর্তী ছয়টি বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন কোরাজন আকুইনো। কিন্তু খব একটা সুবিধা করতে পারেন নি তিনি। অন্তত ছয়টি সেনা অভ্যুত্থান তাঁকে মোকাবেলা করতে হয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেন। তবে রাজনীতির মাঠে ঠিকই সক্রিয় ছিলেন আরো কয়েক বছর। ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট জোসেফ এস্ত্রাদার বিরুদ্ধে আ্‌ন্েদালনে ভূমিকা রাখেন তিনি। অন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর হাসপাতালেই কাটিয়ে দেন বাকিটা সময়। এমনকি শেষ দিকে চিকিৎসা নিতেও A¯^xKvi করেন। অবশেষে ১ আগষ্ট ২০০৯ শুক্রবার ৭৬ বছর বয়সে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার আন্দোলনের জোরালো Kɯ^i কোরাজন আকুইনে ওরফে কোরি আকুইনো।

2 comments:

  1. Hope your wife will rise to democratic leader from housewife.
    Hah hah hah ha.
    It's just for kidding.

    How are you?
    I like your writing hand & skill.

    ReplyDelete
  2. কিছু শব্দ পড়া যাচ্ছেনা।

    ReplyDelete