Pages

Thursday, March 18, 2010

আত্বজীবনী পর্ব-০১

আত্বজীবনী পর্ব-০১

ফেলে আসা স্মৃতি


শুভ্র সকাল। প্রচণ্ড শীত। কুয়াশায় চারদিক ঢাকা। দুই পায়ের সরু রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে সবুজ ধানতে। এমন সময় প্রতিদিন ঐ রাস্তায় প্রাইভেট পড়তে যেতাম আর ভাবতাম এভাবেই যদি কেটে যেতো সারাটা জীবন। রাতে স্বপ্ন দেখতাম কবে বড় হবো?? আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠলাম। প্রাইমারীর গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুল। সে সময় আরো বেশী স্বপ্ন ডানা মেলতো মনের ভেতর। স্কুলের ফার্স্টবয় ছিলাম। কোনদিনও কাশ মিস দিতাম না। রহমান স্যার
ইংরেজী গ্রামার পড়াতেন। লম্বা , ফর্সা ও স্মার্ট। পান খেতেন আর মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতেন। কাশে পড়া না পারলেই রীতিমত কান ধরে দাঁড় করিয়ে বলতেন বড় বড় জ্ঞানী ব্যাক্তিদের কথা। বিভিন্ন মনীষির ইতিহাস। শুনাতেন ভালো করে লেখাপড়া করলে জীবনটা সুন্দর হয়। সফল হয়। আর স্বপ্ন দেখাতেন ম্যাজিস্ট্র্যাট, ইঞ্জিনিয়ার হবার।

এরই মধ্যেই সায়েন্স থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করে ইন্টারে ভর্তি হলাম। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে এইচএসসি আর পাশ করা হলোনা। নিলাম একটা কিণ্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরি। হাসি-খুশি, ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের সাথে সময় কাটানো, ভালোই চলছিল জীবন।

একদিন এই স্কুলের প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে পরামর্শ দিল। বলল, তুমি আবার নতুন করে পড়ালেখা শুরু কর। জীবনটাকে এভাবে রেখো না। স্যারের কথা অনুযায়ী কয়েকমাস পরেই ঢাকায় একটা বেসরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট-এ চার বছর মেয়াদী কম্পিউটার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হলাম।

প্রথম সেমিস্টার ভালো রেজাল্ট করলাম। দ্বিতীয় সেমিস্টারেই আবার ঘটে গেল মহাবিপদ। মিডটার্ম পরীার মাত্র দশ-বারো দিন পূর্বে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের সামনে বাস দূর্ঘটনায় আমার ডানহাত ভেঙ্গে গেল। তারপর???
তারপরতো ঘটে গেল আরও রহস্যময় মজার ঘটনা।
পলিটেকনিকের অধ্য স্যার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াদুদ আমাকে প্রচণ্ড আদর করতো। প্রথম সেমিস্টারের রেজাল্ট ভালো হবার কারণে অন্যান্য স্যার ম্যাডাম সবাই আমাকে মিডটার্ম পরীা দেবার অনুমতি দিল।
কিন্তু একটা শর্ত জুড়ে। ইন্সটিটিউটের অফিস কে বসে পরীা দিলাম। আমি মুখে মুখে বলি আর আমার ফুফাতো ভাই মাহফুজ আমার কথা শুনে শুনে খাতায় উত্তর লিখে। এভাবেই দ্বিতীয় সেমিস্টার পার করলাম।

সাইফ বরকতুল্লাহ : ডায়েরির পাতা থেকে সংকলিত

1 comment:

  1. তারপর??? তারপর কি হল??? :-o

    ReplyDelete