Pages

Tuesday, May 17, 2011

না ভাঙলে পাথর জ্বলে না

এক. 
বুকের কাঁটাগুলো তুলে নিলে 
সারতো যদি ক্ষত, 
কাঁটা দিয়ে-ই বুকখানা তার 
সাজাতাম অবিরত। 

দুই. 
উস্কে দিতাম সব স্মৃতি-ই 
দপদপিয়ে আগুন যদি জ্বলতো। 
সোনার চালে রাঁধা ভাতে কী যে ধাঁ ধাঁ, 
সেই জানে, যে জন ক্ষুধায় আসক্ত। 


তিন. 
আগুনই শুধু সূত্র পুড়িয়ে খায় 
অন্য সবাই সূত্র আকড়ে বাঁচে, 
গুল্মলতাও সূত্র জড়িয়ে সমষ্টি হয়; কবি 
ভাবখানা টেনে বোনেন জামদানি ধাঁচে। 

চার. 
আলো আকাশ ছাড়া, বৃষ্টিও মেঘ ছাড়া 
পতনের মুখর উৎস বুনতো কিসের ফাঁদে! 
বিকীর্ণ আভায় সূর্যটা রাতদিন সহস্র কোটি ছায়াপথ 
নিয়ে ঝুলে থাকে শুধু এতোটুকু সামিয়ানার চাঁদে। 

পাঁচ. 
কঠিনকে আলগা, আলগাকে কঠিন ভেবে, 
একইভাবে কতজনও ভুল গেরো খোলে, আর বাঁধে। 

ছয়. 
নকল সিদ্ধাই পুজো নিতে এলে শুদ্ধ মনের, 
ভেজাল খলও এসে আগলেছে কি অর্গল, 
সমঝে রেখেছে সাজির দু'চারটে ফুল? 
ভালোমন্দের দ্বন্দ্ব কেনো? দু'জনই সমান ভুল। 


সাত. 
না ভাঙলে পাথর জ্বলে না জোনাকের মতো বাতি, 
কী সাধ জন্মে, জানে ঝড়ো বাতাসের খোলা ছাতি। 
তাই নিরেট জেনে জীবনের যেটুকু থেকে যায় অক্ষুণ, 
খুব কি প্রয়োজন, ধ্যানীর পাশে একটি প্রদীপ মৌন! 

জীবনে প্রথম মাছ কুটার গল্প এবং তরকারী রান্না

১৯৯৮ সাল। আমি সবেমাত্র এসএসসি পাশ করে ইন্টারমেডিয়েট ভর্তি হয়েছি। গ্রাম থেকে শহরে এসে মেস-এ থাকা শুরু হলো। শুরু হলো একা থাকার দুঃসহ যন্ত্রণা। মা-বাবা ছেড়ে মানুষ হবার জন্য একাকী জীবনের প্রথম ভালো না লাগার যে ঘটনা আজো ভুলতে পারিনি। 

মেস জীবনের চতুর্থ দিনে বুয়া আসেনি। রাতে রান্না করার দায়িত্ব পড়ল আমার উপর। রুমমেটদের অনেক বুঝিয়েও কোন লাভ হলোনা। বাজার থেকে আনা ছোট মাছ কাটার দায়িত্ব পড়ল আমার উপর। 
কী আর করার। শুরু করলাম । অর্ধেক মাছ কাটার পর আমার বাম হাতের একটা আঙ্গুল কেটে গেল। আমার মেজাজ তখন চরম গরম। রাগে ক্ষোভে রক্তাক্ত অবস্থায়ই মাছ কুটার কাজ শেষ করলাম। তারপর রুমমেট সুমন আমাকে ডেকে সেভলন দিয়ে হাত ধুয়ে কী একটা মলম জাতীয় লাগিয়ে দিল। রক্ত পড়া বন্ধ হলো।মিনিট পাঁচেক চুপচাপ বসে শুরু করলাম তরকারী রান্না। আলু, বেগুন আর ছিম দিয়ে ছোট মাছ তরকারী রান্না করলাম। 

রাতে খাবার বসে ঘটে আরেক মজার কাণ্ড। খাইতে দেখি তরকারীতে লবণ একদম হয়নি। আসলে আঙ্গুল কাটার যে চরম বেদনা সে কারণেই হয়তো রান্নার সময় তরকারীতে লবণ দেয়নি। তরকারীটাও একটু কাঁচা কাঁচা লাগছে। আসলে নতুন রান্না করছিতো মসল্লা, লবণ, তৈল, হলুদ মরিচ কতটুকু দিতে হয় তা না জানার কারণে তরকারী কাঁচা কাঁচা লাগছে। এভাবেই সেদিন রান্না করেছিলাম আর রাতে খেয়েছিলাম।

কীভাবে গল্প লিখবেন

গল্প । জীবন মানেই গল্প। ছোট বেলায় মায়ের ঘুম পাড়ানী গল্প কিংবা ঠাকুর মার ঝুলি, প্রাইমারী স্কুলের ক্লাশের স্যারদের কত মজার মজার গল্প--মনে আছে তো আপনাদের? কত গল্পইনা শুনেছি, পড়েছি। এখনো আমরা গল্প পড়ি। একটা হৃদয়স্পর্শী গল্প পড়লেই, সবাই মিলে আলোচনা করি সেই গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে। 

আর বিখ্যাত লেখকদের গল্প পড়লেই ইচ্ছে করে নিজেরাও একটা গল্প লিখি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম,শরৎচন্দ্র, প্রমথ চৌধুরী, আল মাহমুদ, মার্ক টোয়েন, সেক্সপিয়ার, ম্যাক্সিম গোর্কী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, হুমায়ুন আহমেদ, কাজী আনোয়ার হোসেন-এই সব বিখ্যাত লেখকদের গল্প পড়লেই মনে হয় জীবনটাই একটা গল্প। কী সুন্দরভাবে জীবনের সব আয়োজন তুলে ধরেন তাঁরা গল্পে। 

কিন্তু আপনারও তো ইচ্ছে করে গল্প লিখতে তাইনা। কিন্তু ইচ্ছে করলেই তো আর লেখা যায়না। চলুন এবার দেখি কীভাবে তা করা যায়। 

(এক.) বিষয় নির্বাচন ও শুরু 

(০১) আপনি গল্প লিখতে চান। তাহলে প্রথমেই আপনার লেখার বিষয়বস্তু নির্বাচন করতে হবে। 
(০২) প্রথমেই আপনি গল্পের প্রেক্ষাপট এবং চরিত্র নিয়ে ভাবুন। ভাবুন কোথা থেকে শুরু করবেন এবং কোথায় গিয়ে শেষ করবেন। 
(০৩) যখন গল্প শুরু করবেন, তখন আপনার গল্পের প্রেক্ষাপট ঠিক করুন। ডায়ালগ কী হবে, ক্লইমেক্স কী হবে, এগুলো ঠিক করুন। 
(০৪) প্রয়োজনে নোট করুন। নোটটি সামনে রেখে গভীরভাবে ভাবুন। 
(০৫) একই সময়ে না লিখে প্রতিদিন কিছু অংশ করে লিখুন। 
(০৬) বারবার পড়ুন। 


(দুই.) প্রথম প্যারাগ্রাফ 

মনে রাখবেন শুরুটাই যেন আকর্ষণীয় হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামার নির্বাচনে বিজয়ের গল্পটা নিশ্চয়ই মনে আছে। চেঞ্জ উই নিড---দেখেন তাঁর নির্বাচনে জয়ের গল্পে শুরুটাই বিশ্বব্যাপী ঝড় তোলে। আপনিও আপনার গল্পের শুরুটা এরকম দিয়ে শুরু করবেন। পাঠককে ধরতে এর বিকল্প নেই। 

(তিন.) চরিত্র 
Your job, as a writer of short fiction–whatever your beliefs–is to put complex personalities on stage and let them strut and fret their brief hour. Perhaps the sound and fury they make will signify something that has more than passing value–that will, in Chekhov's words, "make [man] see what he is like." -Rick Demarnus 

আপনার গল্পের চরিত্র নিয়ে ভাবুন। ইহা গল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই চরিত্র সম্পর্কে জানতে হবে তারপর গল্পে ব্যবহার করতে হবে। নিচের বিষয়গুলো জানলে আপনার গল্পে চরিত্র ব্যবহারে সাহায্য করবে। 
০১) নাম 
০২) বয়স 
০৩) পেশা 
০৪) চেহারা 
০৫) অবস্থান 
০৬) কালার 
০৭) বন্ধু 
০৮) খাদ্য 
০৯) ধর্ম 
১০) বিবাহ/ অবিবাহিত 
১১) শিশু 
১২) ঘুমন্ত 
১৩) মুহূর্ত 
১৪) রোগাটে 
১৫) নার্ভাস টাইপের 

গল্পে এ ধরণের চরিত্র হতে পারে। 


(চার .) পয়েন্ট অব ভিউ ঠিক করুন Choose a Point of View : 
আপনার গল্পের পয়েন্ট অব ভিউ ঠিক করুন। কাকে দিয়ে আপনি গল্পের মেইন অবজেকটিভস তুলে ধরবেন (As a writer, you need to determine who is going to tell the story and how much information is available for the narrator to reveal in the short story)। সেটা হতে পারে ফার্স্ট পারসন, সেকেন্ড পারসন কিংবা থার্ড পারসন। 

(পাচ.) ডায়ালগ 
Make your readers hear the pauses between the sentences. Let them see characters lean forward, fidget with their cuticles, avert their eyes, uncross their legs. -Jerome Stern 

ডায়ালগ গল্পের প্রাণ। আপনার গল্পের বিষয় বস্তুর সাথে চরিত্র অনুযায়ী অর্থবহুল ডায়ালগ লিখুন। সুন্দর একটি ডায়ালগই আপনার গল্পকে বিখ্যাত করতে পারে। হৈমন্তী গল্পের সেই জনপ্রিয় ডায়ালগগুলোর কথা চিন্তা করুন। 

(ছয়.) কনটেকস্ট সেট করুন : Use Setting and Context 
আপনার গল্প লেখার সময় গল্পের বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে লোকেশন, সময় এবং কনটেকস্ট বা পূর্বসূত্র ঠিক করুন। 

(সাত .) চক্রান্ত সেট করুন- Set Up the Plot : 
A plot is a series of events deliberately arranged so as to reveal their dramatic, thematic, and emotional significance. -Jane Burroway 

প্লট মানে চক্রান্ত। নাটকের গল্পে ঘটনা বা সমাবেশ। একটা গল্পের প্লট নির্বাচন করুন। প্লট নির্বাচনের জন্য আপনি Explosion, Conflict, Exposition, Complication, Transition, Flashback, Climax, Falling Action, Resolution-এগুলোর ব্যবহার করবেন। গল্পে ফুটিয়ে তুলবেন। 

(আট.) দ্বন্দ, যুদ্ধ তৈরি করুন -Create Conflict and Tension 
গল্প জমে যাচ্ছে। ঠিক তখনই গল্পে দ্বন্দ, যুদ্ধ তৈরি করুন। এগুলো গল্পের প্রাণ। আপনার গল্পে সম্ভাব্য দ্বন্দ তৈরি করতে পারেন ----- 
ক) গল্পের নায়ক বা প্রধান অভিনেতার সাথে অন্য কোন ব্যাক্তির। 
খ) গল্পের নায়ক বা প্রধান অভিনেতার সাথে প্রকৃতির বা টেকনোলজির। 
গ) গল্পের নায়ক বা প্রধান অভিনেতার সাথে সমাজের। 
ঘ) গল্পের নায়ক বা প্রধান অভিনেতার সাথে অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্রের। 


(নয় .) ক্লাইমেক্স, ক্রাইসিস তৈরি করুন 
গল্পে ক্লাইমেক্স বা ক্রাইসিস না থাকলে মনে হয় সে গল্প কেউ পড়েনা। সুতরাং এটা গল্পের জন্য অনস্বীকার্য। 

( দশ.) সমাপ্তি 
পাঠকের গল্প পড়া শেষ হবে। কিন্তু মনে রাখবে ইস ! এখনই শেষ। হ্যাঁ, প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, এভাবেই শেষ করবেন গল্পের। 

তাহলে আর দেরি কেন ? শুরু করে দিন গল্প লেখা।

কলকাতার দিদি

গান গাইতে ও ছবি আঁকতে প্রচণ্ড নেশা। কিন্তু পেশা রাজনীতি। আর জীবনটা অতি সাদাসিধে। যে বাড়িতে তিনি থাকেন, এর পাশেই নালা। সুতির শাড়ি আর সাধারণ চপ্পলেই দিব্যি চলেন তিনি। হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক, তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন মমতা ব্যানার্জি। 

মমতা ব্যানার্জি ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি কলকাতার কালিঘাটের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রোমিলা এবং গায়ত্রী ব্যানার্জীর মেয়ে মমতা ব্যানার্জী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। 
মমতা তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস এর মাধ্যমে। ১৯৭৬ সালে মমতা রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম যাদবপুর আসন থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি সিপিএম এর শীর্ষ নেতা সোমনাথ চ্যাটার্জিকে পরাজিত করেন। পরে তিনি অল ইন্ডিয়া যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে গেলেও পরে তিনি দক্ষিণ কলকতা আসন থেকে ১৯৯১ সালে কংগ্রেস সরকার গঠন করলে মন্ত্রী হন মমতা। ১৯৯৬ সালে মমতা অভিযোগ করেন, কংগ্রেস দেশজুড়ে দুর্নীতি শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাম সরকারকে দুর্নীতিতে সহযোগিতা করছে। 

১৯৯৭ সালে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) গঠিত সরকারে যোগ দেন। তাঁকে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

২০০১ সালের শুরুতে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০০৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পোন্নয়ন নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বড় ধরনের বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সরকার হাওড়ায় কৃষিজমি দিতে রাজি হয়। এর বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে জনতা। মমতা সেই আন্দোলনে জনতার পক্ষে অবস্থান নিলে বুদ্ধদেব সরকার শিল্পোন্নয়নের নীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। এরপর ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ি তৈরির প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেন মমতা। এ ছাড়া নন্দীগ্রামে রাজ্য সরকারের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাও বন্ধ করতে সক্ষম হন। ওই আন্দোলনে সরকারের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসী নিহত হয়। এসব আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মমতা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন মমতা। 

২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করেন মমতা। নির্বাচনে তাঁর দল ১৯টি আসন লাভ করে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সমস্যা, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর ও রেজওয়ান হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব ছিলেন মমতা। 

২০১০ সালে কলকাতা ও বিধাননগর মিউনিসিপালে জয়লাভ করে তাঁর দল। সেই মমতাই এখন হতে যাচ্ছেন পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী। কলকাতার সমর্থকদের কাছে মমতা দিদি বলে পরিচিত। 

আর গত শুক্রবার ( ১৩.০৫.২০১১) এই দিদির (মমতা ব্যানার্জী) কাছেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে দীর্ঘ ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টের। রাজ্যের সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ লাল রঙের পরিবর্তে সবুজের পক্ষে রায় দিয়েছে। ২৮৫ আসনের মধ্যে মাত্র ৬৩টিতে জিতেছেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। বিপরীতে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন তৃণমূল-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ২২৬ আসন। সরকার গঠন করতে প্রয়োজন মাত্র ১৪৮ আসন। সেখানে তৃণমূল এককভাবেই জিতেছে ১৮৫ আসনে। এর বাইরে বিজেপিসহ অন্য দলগুলো পেয়েছে পাঁচটি আসন। 

এর মাধ্যমে ১৯৭৭ সালের ২১ জুন থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলা বামফ্রন্ট শাসনের অবসান হলো। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শুক্রবার দুপুরেই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রাজ্যের পরবর্তী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর মাধ্যমেই ভারতের উত্তর প্রদেশ, তামিলনাডু ও দিল্লির পর এবার পশ্চিমবঙ্গ পেতে যাচ্ছে একজন নারী মুখ্যমন্ত্রী (মমতা ব্যানার্জী)। 

মমতার এ অবিস্মরণীয় সাফল্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করে তাঁকে অভিনন্দন জানান। এছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিও ফোন করে মমতাকে শুভেচ্ছা জানান। 

অভিনন্দন দিদি তোমায়। 

এর আগে এখানে প্রকাশিত 
http://www.sonarbangladesh.com/articles/SaifBarkatullah 

বাতাসের সাথে আমার চোখ কথা বলছিল

একা । চৈত্র-দুর্দিনে জল হয়ে আছি 
সবুজ ঘাসের উপর বসে তাকিয়ে আছি নীল আকাশে 
গায়ে ভাসা রোদ আর মাথার উপর একঝাক সাদা বকের নাচ 
পাশেই দেখি বটগাছের শুকনো পাতার ভাঁজে চিত্রময় মুখচ্ছবি। 

ঐদিন অসংখ্য মেঘ পুব আকাশে খেলা করছিল 
আনমনে বসে বসেই আছি 
ঝিরিঝিরি বাতাসের সাথে আমার চোখ কথা বলছিল। 


একবার বাতাস আমার গায়ে ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করে বলতে শুরু করল 
আটাশটি বৎসর পার হয়ে গেল 
এখনো তোমার ফেসবুক রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস সিঙ্গেল ? 
কোনো মেয়ে জীবনে আসতে চায়নি তোমার? 
এই মায়াবী বিকেলটা তুমি নিঃসঙ্গতার বাঁধনে জড়িয়ে দিচ্ছো? 


আমি বুঝতে পেরেছি 
বিকেলের মিস্টি রোদ, ফুরফুরে বাতাস, মাথার উপর খোলা আকাশ 
আমায় দেখে বারবার ভেংচি দিচ্ছিল আর মুচকি হাসছিল। 

বাতাসেরা বয়ে যাচ্ছে, পাখিরা আকাশে উড়ছে 
অপলক চেয়ে থাকা চোখ অবশেষে দক্ষিণা বাতাসে 
স্মৃতির ডায়েরিতে মিশে গেলো...।